শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
গোদাগাড়ীতে গরীব আত্মীয়কে জমি দান করে বিপাকে একটি পরিবার

গোদাগাড়ীতে গরীব আত্মীয়কে জমি দান করে বিপাকে একটি পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে গরীব আত্মীয়কে দোকান ঘর নির্মানের জন্য জমিদান করে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। পরে লোভের বশবর্তী হয়ে গত (১ জুন ১০১৯) আরো জমির দাবিতে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের দুই ভাই ও তাদের মা’কে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই, চাচা ও তাদের সঙ্গীরা।

ঘটনানাটি ঘটেছে গোদাগাড়ী থানাধিন শ্রীমন্তপুর এলাকায়। আহতরা হলেন, বেবি বেওয়া (৪৫), তার দুই ছেলে রাসেদুল ইসলাম (২০) ও তোফায়েল আহমেদ (১৫)। পরে গত (জুন) আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪৩ নং ও ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

দুই দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে বেবি বেওয়া বাদি হয়ে গত (৯ জুলাই) গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, আব্দুল খালেক ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম, সেন্টু, টুটুল, বাচ্চু, মকবুল, টুটুল, নয়ন মঞ্জুরসহ মোট ১৪/১০৫জন।

বেবি বেওয়ার ছেলে রাসেদুল বলেন, আমার দুই ভাই ও মা’কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে আমার চাচাত ভাই ও তার মামারা। আমরা হাসপাতালে দুইদিন থেকে চিকিৎসা নিলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম। তাপরও অজ্ঞাত কারনে পুলিশ তাদের কাউকে কোন প্রকার শাসন গর্জন করেনি। উল্টা প্রতিপক্ষরা এখনো আমাদের হুমকি অব্যহত রেখেছে।

গ্রাম্য সালিশে বসে মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন প্রতিকার পাননি ভূক্তভোগীরা।

তিনি আরো বলেন, আমরা যে পরিমান জমি দোকানঘর করার জন্য দান করেছি প্রতিক্ষরা রাতের অন্ধকারে জোর পূর্বক অতিরিক্ত আরো ৪ফিট জমি দখল করে নিয়েছে।

গোদাগাড়ীর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আনার হোসেন বলেন, বিষয়টি নিস্পত্তি করতে মাঝে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। থানায় অভিযোগও হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা কোন প্রতিকার পাননি। এমনকি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানদের করে দেয়া সালিশে ভূক্তভোগীরা কাঙ্খিত সমাধান পায়নি। এই পরিস্থিতিতে জমির অধিকার নিয়ে অনিশ্চতায় মধ্যে রয়েছেন ভূক্তভোগীরা। প্রতিপক্ষরা বর্তমানে তাদের আবাদি জমির উপর নজর দিয়েছেন বলেও জানায় আসাদুল। প্রতিনিয়ত হুমকিতে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে মোঃ জয়নাল চেয়ারম্যান বলেন, পরিবারটি একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সত্যিই অমানবিক। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় সেটি এখনো নিস্পত্তি করা যায়নি।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তবে তারা একে অপরের আত্মীয়।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ভাবে আপোষ-মিমাংসার কথা ছিল তাদের। অপোষ মিমাংসা না হলে ভুক্তভোগীরা চাইলেই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

মতিহার বার্তা ডট কম-০৭ জুলাই  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply